স্বদেশ ডেস্ক;
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ভারতের একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) আছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, নওশাদের হার্টের অবস্থা ভালো আছে। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন সার্জারি করা হবে কিনা। ভারতে সার্বিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান বাপা সভাপতি।
ক্যাপ্টেন মাহবুব বলেন, আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি, তারা আমাদের সহায়তা করছেন। বিমানের দিল্লি স্টেশন সার্বিক পরিস্থিতি দেখাশোনা করছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অসুস্থ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। শনিবার বিমানের অসুস্থ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের খোঁজ নেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ফ্লাইট চালানোর সময় মাঝ আকাশে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এর পরই ফার্স্ট অফিসারকে বিষয়টি জানিয়ে ফ্লাইটটি আশপাশে কোথাও জরুরি অবতরণ করতে বলেন। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি এড়িয়ে সফলভাবে ফ্লাইটটিকে ভারতের নাগপুরে অবতরণ করান তারা। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী, আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।